দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলদী বাহার উল্লাহ পাড়া বড় মাদ্রাসার ছাত্রদের আহত করে জোর পূর্বক মাদ্রাসা জমি দখলে নিতে চেষ্টা করে এলাকায় কিছু ভূমিদস্যু গতকাল সন্ধায় দফায় দফায় ৬:২০ মিনিট এবং ৮ ঘটিকার সময় মাদ্রাসা পড়াশোনা করা অবস্থায় মাদ্রাসা ৬ ছাত্রদের ইট পাটকেল দিয়ে মেরে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনা ঘটার সাথে সাথে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ওসি তদন্ত সুদাশু শেখর হালদার ও সেকেন্ড অফিসার সহ থানার প্রায় সকল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখা যায়। অন্য দিকে আহত উক্ত মাদ্রাসা বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মাদ্রাসা হোটেলে চলে আসে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদ্রাসার কিছু জায়গা স্থানীয় কিছু ভূমিদস্য ওদের দখলে নিতে দিন দিন মরিয়া হয়ে যাচ্ছে। ঔ ভূমিদস্যু গুলো চায় এখন থেকে মাদ্রাসা যেন সরিয়ে নিয়ে মাদ্রাসা জমি গুলো গ্রাস করতে। তবে এই মাদ্রাসা বয়স তাদের বাপ দাদা বয়সের বেশী হবে।
প্রায় সময় বাহিরের কিছু লোক দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর নানা অত্যাচার জুলুম করেছিল। বিশেষ করে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই জুলুম এর শেষ ছিল না। গত বছরের ৫ আগষ্ট হাছিনা সরকারের পতনের পর পর প্রায় মাস ছয় মাস ভয়ে কিছু না করলে ও বর্তমানে ঔ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী গুলো আবার সক্রিয় হয়ে উক্ত মাদ্রাসার জমি দখলে নিতে মারিয়া।
আহত ছাত্র গুলো হল রবিউল আজহার (১৯),
সোহেল মাহমুদ(২৪), আবিদ হোসাইন (১৮),
মোহাম্মদ হোসাইন (১৬), মোহাম্মদ বোরহান (১৯), মোহাম্মদ হাবিব (২০) এরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাদ্রাসা হোস্টেল চলে আসে। বর্তমানে আহত ছাত্র এবং বাকি ছাত্রছাত্রীরা অশ্রু সিক্তকন্ঠে গণমাধ্যমে বলেন, আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
যে কোন সময় উক্ত মাদ্রাসা দখলে নিতে গেলে আমাদের উপর হামল হতে পারে তাই আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বড় কোন ঘটনা ঘটার আগে বিষয়টা স্থায়ী ভাবে যেন সমাধান হয়। আমরা যেন নির্ভয়ে পড়ালেখা করতে পারি। এই বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম মুঠোফোন বলেন, বাঁশখালী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র বাহার উল্লাহ পাড়া বড় মাদ্রাসা জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মাদ্রাসা একাধিক ছাত্র ইঠ পাটকেল খেয়ে আহত হয়েছে।
আমি সাথে সাথে সরেজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে উভয় পক্ষকে শান্ত রাকার জন্য তাগিদ দিয়ে এসেছি। এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত সহয়োগিতায় করবো। তবে এই ঘটনায় সার্বক্ষণিক পুলিশ তদারকিতে থাকবে বলেও জানান ওসি।