কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বাসন্তী পূজা আগামীকাল থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে উলু ধ্বনি, ঢাকের বাদন, কাসর, ঘন্টা ও শঙ্খ বাজিয়ে এবং সন্ধ্যায় পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের পূজা যা আগামী (১৮ এপ্রিল) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
প্রতি বছরের মত এবছরও চিরিংগা হিন্দু পাড়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যাগে ৩১ তম চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে প্রাঙ্গণে প্রণব দাশ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ (মুন্না) অর্থ সম্পাদক কালু দাশ উদযাপন পরিষদের নানা আয়োজনে বাসন্তী পূজা উদযাপিত হতে যাচ্ছে।
পৃথিবীর অপশক্তির বিরুদ্ধে সুন্দরের বিজয়ের প্রতীক মা দূর্গা। জগতে সকলের মঙ্গল কামনায় পাঁচদিনব্যাপী মাকে বিভিন্ন ধর্মীয় পূজার মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজা উদযাপন হবে। বাসন্তী পূজাকে ঘিরে শ্রী শ্রী চন্ডী পাঠ , শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা আরতির আয়োজন করা হচ্ছে সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠান পৌরহিত্য করবেন চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের পুরোহিত রাজীব চক্রবর্তী, পন্ডিত বাঁশখালী নিমকালী সুমন চক্রবর্তী, পালা কীর্তন পরিবেশন করবেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট পালা কীর্তনীয় আজিজ সরকার, রুবি শংকর দে রুবেল।
চকরিয়ায় বাসন্তী পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা জানান, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বোধনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজা শুরু হয়। বসন্তকালে হয় বলে এর নাম বাসন্তী পূজা। শারদীয় দুর্গোৎসবের মতই সব নিয়ম মেনে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজন বাসন্তী পূজা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালন কর।
চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও চকরিয়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মা-দূর্গা শরৎকালে শারদীয় দেবী, বসন্তকালে মা বাসন্তীরূপে বিরাজিতা। তিনি যেন সবাইকে সুস্থ রাখে। এই প্রার্থনা রাখি।
তিনি আরো জানান, পূজায় কোনোরকম যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে জানান।