কক্সবাজারের ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কের শতবর্ষী গর্জন গাছটি কে কাটলো? এমন প্রশ্ন এখন দুই উপজেলার মানুষের মুখে মুখে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা বন বিভাগের শত বছরের গর্জন গাছটি কেটে দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছে ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে পরিবেশ ও প্রতিবেশের।
জানা যায়, ১৩ জুলাই ( শনিবার) গভীর রাতে একদল বনখেকো ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জ অফিসের পাশে নার্সারীর সামনে একটি বড় আকৃতির গর্জন গাছ কেটে পালিয়ে যায়। তবে এ সময় হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ইয়াছিন আরফাত।
তিনি বলেন, দূর্বৃত্তদের কেটে ফেলা গর্জন গাছটি পড়ে তাদের লাইনের তার, ৪টি বিদ্যুতের খুঁটি, ৫টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে দুই উপজেলার গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প উপায়ে লাইন চালু করা হয়। লাইনের পুনঃসংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ অফিসের এই কর্মকর্তা।
ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এ অপরাধ সংগঠিত করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ধারণা করছেন, ঈদগড়ের কোনো দুষ্কৃতকারী এ কাজটি করেছে। কারণ তারা সড়ক থেকে গাছ কেটে ফেলার জন্য বন বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল ওই গর্জন গাছটির কারণে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছিল।
বন বিভাগের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এভাবেই সরকারি শতবর্ষী বন সম্পদ ধ্বংস না করে বিকল্প পথ তৈরি করে চলাচল করা যেত।কে বা কারা এ অপরাধ সংগঠিত করেছে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।