বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মোরশেদ আলম (২৫) নামে এক মাদককারবারীকে আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি। এসময় তার কাছ থেকে ইয়াবা, নগদ টাকাসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের ৫১/১ নং সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাহিরমাঠ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সোর্পদ করে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আটকৃত মোরশেদ টাকার বিনিময়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাচারের সঙ্গে জড়িত। জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি, আশারতলী, চাকঢালা, জামছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে গরু, মাদক পাচারে সক্রিয় রয়েছে চোরাকারবারীরা। সম্প্রতি মিয়ানমারের ওপারে সংঘাত বৃদ্ধি পেলে দালালদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।
দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে জন প্রতি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দখল নিতে আরাকান আর্মি দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।
এ সংঘাতের জেরে মংডুসহ আশপাশের গ্রামে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি ঘটছে। প্রাণ বাঁচাতে নতুন করে রোহিঙ্গারা পাহাড়ী পথে বাংলাদেশে ঢুকছে।
এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে সহযোগিতা করছে নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকজন দালাল। তারা মিয়ানমারের চোরাচালান আনা নেওয়ার কাজে নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার এলাকার কয়েকটি ব্যাংক ও মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হুন্ডির কারবারে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেটটি।
চোরাচালানে জড়িত একাধিক সূত্রে গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দিয়ে মাসে অন্তত ৫০ কোটি টাকার গরু, ইয়াবা পাচার করে আনা হয় মিয়ানমার থেকে। এসব আনতে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয় মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এই টাকার সবই চলে যায় হুন্ডির মাধ্যমে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়ায় অন্তত ২০ জন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে প্রতিমাসে শত কোটি টাকা মিয়ানমার ও ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
……………….
