শনিবার- ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

dainiknilgiri.com
প্রচ্ছদ /

ঈদগাঁওতে গোমাতলী সড়ক মেরামত করে প্রশংসায় ভাসছেন তরুণ সমাজকর্মী মোঃ সাইফুদ্দীন

করোনাকালে দারিদ্র মানুষের মুখে নিজ উদ্যোগে আহার তুলে দিয়েছেন। রমজান মাসে ইফতার সামগ্রি  ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করতেও দেখা গেছে তাকে। এ রকম অনেক ভালো উদ্যোগের সঙ্গে সামিল মোঃ সাইফুদ্দীন। কোনো সরকারি কর্মকর্তা নন তিনি। নিজ খরচায় করেন সমাজসেবামূলক কাজ। এসব কাজে নিয়োজিত আগে থেকেই। এবার সড়ক সংস্কার করে ভাসছেন প্রশংসায়।

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন পেলে রাখা হয়। এতে পাকা রাস্তার পিচ আর ইট, বালু উঠে চলাচলের অনুপযোগী। রাস্তার মাঝে মাঝেই খানাখন্দ। জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল প্রতিনিয়ত। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। সড়ক-জনপদ কক্সবাজার সংস্কার কাজটি দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখেছে। ফলে যানবাহনে যাতায়াতকারীদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। আর মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য যেন খানাখন্দগুলো সাক্ষাত যমদূত। গত কয়েকদিনে একাধিক মোটরসাইকেল আরোহী বেখেয়ালে চালাতে গিয়ে ওই খানাখন্দে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে গুরুতর আহত হন। বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি তরুণ সমাজকর্মী মোঃ সাইফুদ্দীনের। বালি, কংক্রিট, সিমেন্ট নিয়ে অবশেষে নিজ উদ্যোগে রাস্তা মেরামত করলেন তরুণ এ সমাজকর্মী।

সাইফুদ্দীন পোকখালী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ফিরোজ আহমদের পুত্র এবং গেল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

.

শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি লোকজন সাথে নিয়ে রাস্তা মেরামত কাজ শুরু করেন। এসময়  সড়কের হাই স্কুল থেকে কাটাখালী, উত্তরপাড়া-গাইট্যাখালী পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তার বড় বড় গর্ত ভরাট করেন। এছাড়াও ভাঙ্গা রাস্তায় ইট-বালু দিয়ে রোলার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। সড়ক মেরামত করে উপজেলাবাসীর কাছে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। .

.

রাস্তা মেরামতস্থলে উপস্থিত কয়েকজন বলেন, এ  উদ্যোগ এলাকাবাসীর কষ্ট কমানোর পাশাপাশি অন্য মানুষদেরও ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করবে। সাধারন মানুষ তার কাছ থেকে এমন কাজই আশা করে। মেরামতের এই উদ্যোগে আমরা খুব উপকৃত।

পথচারী ও ব্যবসায়ীরা বলেন, ভাঙাচোরা এ রাস্তা নিয়ে আমাদের দুর্দশার সীমা ছিল না। মেরামতের মধ্য দিয়ে আপাতত স্বস্তি নেমে এসেছে।

জানতে চাইলে মোঃ সাইফুদ্দিন বলেন, এ সড়কটি মেরামত করা খুবই জরুরি ছিল। এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব করার জন্য কাজটি করেছি। আমি কোনো সরকারি কর্মকর্তা না। সরকারি চাকরিও করি না। আমার দেখে খারাপ লেগেছে, তাই স্ব উদ্যোগে সড়কটি মেরামত করছি।

তিনি কাউকে দোষারোপ না করে বলেন, আমরা সরকারের ওপর নির্ভর না হয়ে নিজেরাই কিছু করি। অন্তত প্রত্যেকের ঘরের সামনের সড়কটি ভাঙা দেখলে মেরামতের উদ্যোগ নেই। নিজের বিবেকের তাড়নায় এ কাজ করি।

143Shares

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়