কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের আলোচিত আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের জেরে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান এবং দু’জন ইউপি সদস্যসহ অন্তত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত দেড়টার দিকে ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পূর্ব ডুমখালী এলাকায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস, সফুরা খাতুন, মনোয়ারা আক্তার ও খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় পৃথক পৃথকভাবে ৪টি এজাহার দায়ের করেছেন। দায়েরকৃত এজাহারে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু ছালাম ও ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ফখরুদ্দিনসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে ও বাদী জান্নাতুল ফেরদৌস, সফুরা খাতুন, মনোয়ারা আক্তার ও খুরশিদা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ও দুইজন মেম্বার উপস্থিত থেকে এবং তাদের হুকুমে ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ চক্র মধ্যরাত আনুমানিক দেড়টা থেকে একটানা ৩টা পর্যন্ত হাতে বন্দুক, ধারালো দা, লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠিসহ মারাত্মক অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় ৩০/৩৫টি বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও নির্যাতন চালায়। যে সকল পরিবারে হামলা চালানো হয়েছে তাদের পরিবারের কেউ আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এঘটনার নেপথ্যে অন্যতম কারণ, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের পক্ষে কাজ না করাই সে পরিকল্পিতভাবে অসহায় পরিবারগুলোর উপর এভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলে শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকের জানান বসতঘরের মালিক ও অভিযোগকারীরা। প্রশাসনের কাছে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তাসহ তদন্তপূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান।
অভিযোগের ভিত্তিতে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আবদুর রহমান হত্যাকান্ডের মোটিভ পরিবর্তনের উদ্দেশ্য তার প্রতিপক্ষরা কৌশলে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভাংচুরের ঘটনায় তিনি জড়িত নয় বলেও জানান।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত ওসি অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ৪টি এজাহার পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।