বৃহস্পতিবার- ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

dainiknilgiri.com

বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় যারা

বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় যারা

সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাচনের দৌড় শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আগামী মে মাসে উপজেলা নির্বাচনের সাম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সম্ভাব্য তফসীলও ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এই তোড়জোর শুরু হয়। এই বারে এই তোড়জোড় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে বিভিন্ন উপজেলায় প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে বিএনপি বা জামায়াতের সমর্থিত নেতারাও। যেহেতু এবারে দলীয় কোন প্রতীক থাকছেনা সেহেতু এই নির্বাচনে প্রতিযোগিতা ও উত্তেজনাকর হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান উভয় পদে জন্য ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থী আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং অনেকের নাম মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি বা অন্য দলের প্রার্থীরা নিজের দলের সমর্থন না থাকলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার আগ্রহ করেছে।

বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সুত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলীয় সাপোর্ট তো থাকবেই।তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও জানা যায়।

ইতোমধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং কাউন্সিলর শেখর দাশ।

নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে- আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সফিউল্লাহ,

সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাইল আহমেদ, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাহের কোম্পানী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও জামায়াত সমর্থিত নেতা মোঃ রফিক বসরী।

লামায় হেবি ওয়েট প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল এবং বিএনপি সমর্থিত সাবেক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার। তাছাড়াও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মার্মা এবং লামা উপজেলা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে। ভাইস চেয়াম্যান হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে জাহেদুল ইসলাম,মো নাছির উদ্দিন, বৈশালী বড়ুয়া এবং মিল্কি রানী চৌধুরীর নাম।

আলীকদমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক অংশে থোয়াই মার্মা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও নাছির উদ্দিনের নাম আলোচিত হচ্ছে। তবে আলীকদমে আওয়ামীলীগ সমর্থিত যেই আসুক না কেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালামের সাথে তুমুল লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

থানচি উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাহ্লাচিং মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মংথোয়াই ম্যায় রনি, জেলা পরিষদ সদস্য বাশৈসিং মারমা, সহ-সভাপতি উবামং মার্মা নাম শোনা যাচ্ছে।

রুমা উপজেলায় আওয়ামী সমর্থিত অ্যাডভোকেট বাসিং থোয়াই মার্মা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মার্মা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান শৈমং মারমা’র নাম আলোচনায় রয়েছে।

রোয়াংছড়ি উপজেলায় বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চহ্লামং মার্মা, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বিশ্বনাথ তংচংঙ্গ্যা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান চহাই মং মারমা, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মা উ সাং।

তাছাড়াও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন প্রার্থী দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যায়।

0Shares

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়