২০১২ সালের নভেম্বর মাসে নক্সাকার পোস্টে ১৫ তম গ্রেডে ৩য় শ্রেণির কর্মচারি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। পরে ২০২৩ সালে ১৪ তম গ্রেডে পদোন্নতি পান। সরকারি চাকরীতে মাত্র ১১ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে বিলাশবহুল ৪ তলা আলিশান বাড়ি করে ফেলেছেন এই কর্মচারি।
বলছি বান্দরবান জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী থোয়াই চ মং এর কথা। থোয়াই চ মং বান্দরবান সদর উপজেলার উজানী পাড়ার উ চিং নুর ছেলে।
জানা যায়, এক সময় যার মুখে দুবেলা দুমুটো খাবার জোটতো না সে ১১ বছরে অন্তত ১০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। করেছেন প্রায় ৫ কোটি টাকায়
৪ তলা ভবন যেখানে রয়েছে ১২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।
থোয়াই চ মং এর বেতন যদি গড়ে ২৫ হাজার টাকাও ধরা হয় বিগত ১১ বছরে তার সর্বমোট বেতন হিসেব করলে দাঁড়ায় ৩৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু সে বাড়ি করেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে। অর্থাৎ তার আয়ের সাথে ব্যয় এবং সম্পদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
মূলত বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার বিশ্বস্ত ও কাছের মানুষ হওয়ায় থোয়াই চ মং আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে বলে জানায় জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মচারিরা। চেয়ারম্যানের সাথে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজগুলোতে লুটপাটের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন এই কালো টাকার সাম্রাজ্য।
জেলা পরিষদের এক কর্মচারি জানায়, থোয়াই চ মং বান্দরবান জেলা পরিষদের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ খাদ্যশস্য প্রকল্পের সিন্ডিকেটেরও একজন ছিলেন।
ঐ কর্মচারি আরো জানায়, থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের বড়মধক ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণের দ্বায়িত্বে ছিলেন থোয়াই চ মং। কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ব্রিজটি উদ্বোধনের ৬ মাসের মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে বলে জানায় ঐ এলাকার স্থানীয়রা।
আরেক কর্মচারী জানান, তাকে নিয়োগ দেওয়ার সময়ও সরকারি কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি। তাকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয় তখন তার বয়স ৪২ বছর অথচ সরকারি নিয়োগের বয়সীমা হচ্ছে ৩০ বছর।
বিষয়টি নিয়ে থোয়াই চ মং এর সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, জেলা পরিষদে নিয়োগ পাওয়ার আগে আমি বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছি। ঐখানকার টাকাও আমার জমা ছিল। কোন অবৈধ ইনকাম করিনি। বাড়ি করার সময ব্যাংক ঋণও নিয়েছি ৫০ লক্ষ টাকা।
মূখ্য নির্বাহী মাসুম বিল্ল্যাহ বলেন, আমি যোগদান করেছি মাত্র ছয় মাস হল। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা। তবে দেশে এরকম তো অনেকেই আছে।