চুনতি গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (২৪শে ফেব্রুয়ারী) চুনতি সীরত কমপ্লেক্সে ৮ম বারের মতো এ চক্ষু শিবির শুভ উদ্বোধন করেন চুনতির আলোকিত বক্তিত্ব ও খান ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান মাসুদ খান।
চুনতি খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আসাদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও লায়ন্স এর ডিস্ট্রিক্ট গর্ভনর (ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-বি১৪) লায়ন এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ইমিডিয়েট ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্ট গর্ভনর লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ছিদ্দিকী, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং পারিজাত এলিট এর পরিচালক ও ইন্সটিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অফ বাংলাদেশ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভিন মাহমুদ এফসিএ, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও রিজিয়ন চেয়ারপারসন (লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-বি১৪) ডা. নওশাদ আহমেদ খান, লায়ন কহিনুর কামাল, লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, চুনতি সীরতুন্নবী (সঃ) মতোয়াল্লী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক মোঃ ইবনে দিনার নাজাত ও চক্ষু শিবির কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মোশাররফ হোসাইন আছিম।
সমাপনী বক্তব্যে খান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও চক্ষু শিবির কার্যক্রমের প্রধান সুরাইয়া জান্নাত এফসিএ আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে স্বাগত জানান এবং এলাকার দরিদ্র মানুষের কল্যাণে পরিচালিত এই ফ্রি চিকিৎসা সেবায় খান ফাউন্ডেশনের পার্টনার অর্গানাইজেশন লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগাং পারিজাত এলিট’কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সাথে তিনি চুনতি গ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন। চক্ষু শিবির কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য তিনি চুনতির সকল বয়স ভিত্তিক ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক এবং চুনতি শাহ মঞ্জিল কতৃপক্ষের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
দিনব্যাপী এ চক্ষু শিবিরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল প্রায় ১১০০ রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন, যাঁদের মধ্য থেকে ৩৪৪ জন রোগীকে চশমা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ১৫০ জন এবং জটিল চক্ষু রোগে আক্রান্ত ৩৭ জন রোগীকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে গিয়ে উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।
চুনতি দীপিত ক্লাবের সার্বিক পরিচালনায় এবং চুনতির বয়সভিত্তিক সকল ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এ বিশাল আয়োজন সুসম্পন্ন হয়।
সবশেষে স্বেচ্ছাসেবকদের সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে দিনব্যাপী কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।