চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সাউন্ড হেলথ হাসপাতালে কহিনুর আক্তার(২৫)নামক এক প্রসূতি মায়ের ভুল সিজারের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ডাক্তার মিতালী কর্মকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে প্রসূতির পরিবার। পরে কৌশলে ব্লান্ক চেক দিয়ে আপোসরফার চেস্টাও করেন ঐ ডাক্তার।
মৃত প্রসূতি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাব উদ্দীনের স্ত্রী এবং তিনি ৩ সন্তানের জননী।
নিহতের মামা ফখরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় আমার ভাগ্নী কহিনুর আক্তারের প্রসব বেদনা শুরু হলে আমরা তাৎক্ষনিকভাবে লোহাগাড়া সাউন্ড হেলথ হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত গাইনী চিকিৎসক মিতালী কর্মকার রোগী দেখার পর আমার ভাগ্নীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করে। কিন্তু সিজার করাকালীন রক্তনালীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ না করেই সেলাই করে দেন ঐ চিকিৎসক। যার কারনে রোগীর অবস্হা ক্রমশঃ খারাপ হতে থাকে।
পরে অভিযুক্ত ডা.মিতালী কর্মকার সুকৌশলে রোগীকে নিয়ে চট্রগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে আমাদের মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দেয় এবং রোগী ঐ হাসপাতালে আইসিইউতে মারা যান। পরবর্তীতে আমরা লাশের এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাসপাতালের সামনে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করতে নানারকম হুমকি দেন এবং পুলিশের ভয় দেখান। স্থানীয়রা জড়ো হলে পুলিশ এসে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই বিষয়টি নিয়ে ডা.মিতালী কর্মকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ব্লান্ক চেক দেয়ার কারন জানতে চাইলেও কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর পরপরই ঘটনাস্হলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্হিতি স্বাভাবিক করি। ভুল সিজারে রোগী মারা যাবার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। যদি করে তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় ইতোমধ্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।