বান্দরবানের লামা পর্যটন রিসোর্ট মালিক সমিতির আহব্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। মোঃদেলোয়ার হোসেন রফিক আহ্বায়ক, এডভোকেট সাদেকুল মাওলা ধ্রুব সদস্য সচিব মনোনীত হন।
শতাধিক রিসোর্ট মালিকের উপস্থিতিতে রোববার ১৫ ডিসেম্বর রাত ৯টায় বিভিন্ন পদে ১০ জন রিসোর্ট মালিক প্রার্থীতা করার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর ভোট প্রয়োগে কোন পক্রিয়া অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। রিসোর্ট মালিক ভোটারদের মধ্যে মৃদু উত্তেজনাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। ১৫ ডিসেম্বর ভোটাষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি ইতোপূর্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ছিলো। সে ধারাবাহিকতায় রোববার লামা পৌরসভার তংথমাং রিসোর্ট হলে সকল আয়োজন করেন কমিশন। তবে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিসোর্ট মালিক ও ভোটার প্রশ্নে বিতর্ক দেখা দিলে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটানুষ্ঠান পিছিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান অনেকে।
এমন প্রস্তাবে নতুন করে বিতর্কের জন্ম নেয় প্রার্থী ও রিসোর্ট মালিকদের বড় একটি অংশের মধ্যে। অবশেষে সকলের মতামতের ভিত্তিতে লামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান এর মধ্যস্থতায় ১০জন প্রার্থী ও উপস্থিত রিসোর্ট মালিকদের সাথে সমন্বয় করে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এসময় নির্বাচন কমিশন প্রধান নুর মোহাম্মদ মিন্টুসহ অপরাপর ৫জন, লামা কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মিজানুর রহমান, এডভোকেট মামুন মিয়া, এডভোকেট রুবেল, এডভোকেট আরিফ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গঠিত কমিটি লামার পর্যটন বিকাশে রিসোর্ট ব্যবসায়ী মালিকদেরকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোতে এনে ৯০ দিনের মধ্যে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন।
এর আগে ২০২৩ গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল ১৫ ডিসেম্বর।
এই তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা ছিলো।
১০ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির অন্যান্যরা হলো, সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আসাদ কিবরিয়া সুমন, ইয়াছিন আরাফাত বুল বুল, এম বশিরুল আলম, সাব্বির আহমেদ, মোঃ ওমর ফারুক, সাঈদুর রহমান সাঈদ ও নাজমুল আলম রুবেল।
রিসোর্ট ব্যবসার শৃঙ্খলা, কাঙ্খিত মানোন্নয়ন, সার্বিক মসন্বয় সাধনকল্পে এই কমিটির কলেবর বৃদ্ধি করে প্রয়োজনে ১৩ সদস্য বা ১৭ সদস্য বিশিষ্ট করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত মেনে সবাই সম্মতি দেয়।
প্রসঙ্গতঃ পার্বত্য লামায় বিগত ২০২৩ সাল থেকে মিরিঞ্জা ভ্যালীর পাহাড় চুড়ায় স্থানীয় কতক যুবকের উদ্যােগে ৩/৪ টি কটেজ-রিসোর্ট স্থাপনের মধ্যদিয়ে এখানকার পাহাড় প্রকৃতি অপরুপ দৃশ্যাবলি পর্যটকদের দৃশ্যপটে আসে।
এর পর থেকে লামার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৫০টি রিসোর্ট স্থাপিত হয়। আরো অনেকগুলো কটেজ-রিসোর্ট নির্মাণাধীন।