“সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে লামায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের যৌথ আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যালী, জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
সমবায় র্যালীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লা-হিল-মারুফ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম শহীদুল ইসলাম, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সহ সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ অংশ গ্রহণ করেন।
বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের প্রতিপাদ্যের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমবায় কর্মকর্তা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লা-হিল-মারুফ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম শহীদুল ইসলাম, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি জমি ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ঋণ, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে সমবায় সমিতির মূল লক্ষ্য।
আরো বলেন, সমবায় সমিতি শেয়ার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজিগঠন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নসহ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। লামা উপজেলায় ৫৬টি সমবায় সমিতি স্বতন্ত্র ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের আরো সুসংগঠিত ও দায়িত্বশীল হয়ে সমবায় পরিচালনা করার অনুরোধ করেন বক্তারা। সমবায় হোক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার মূল হাতিয়ার।