বৃহস্পতিবার- ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

dainiknilgiri.com

পাহাড়ী সৌন্দর্য্যেভরা নাইক্ষ্যংছড়ির পর্যটনস্পট শৈলচূড়া পাহাড়

দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পর্যটনস্পটটি

পাহাড়ী সৌন্দর্য্যেভরা নাইক্ষ্যংছড়ির পর্যটনস্পট শৈলচূড়া পাহাড়

পাহাড়ি কন্যা খ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রায় হাজার ফুট উঁচু শৈল চূড়া দূরবীন পাহাড় যেন মেঘের রাজ্য। অপরুপ সৌন্দর্যের দৃষ্টি নন্দন এই স্পষ্টটির অবস্থান বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। দেশের অন্যতম উঁচু এই পাহাড় থেকে দেখা মিলে,  বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কক্সবাজার। আর কক্সবাজার থেকে কাছে হওয়ায় পর্যটকরাও আসেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

এ গ্রামে বসবাস করে অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যার মধ্যে রয়েছে মারমা, চাক, তংচঙ্গা, চাকমা, হিন্দু, বড়ুয়া ও বাঙালিসহ অনেকেই। তাদের বসবাস পাহাড়ের চূড়ায় বা পাহাড়ের ঢালুতে। তাদের প্রধান পেশা কৃষি যেখানে পেঁপে, কলা, পাহাড়ী জুম চাষ এবং আরো বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপন্ন হয়।

শৈলচূড়া পাহাড়ের একাংশ

 নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এই পাহাড়টি অনেকের কাছে শৈল চূড়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। এই পাহাড়টি অধিক উঁচু হওয়ায় এখানে যেতে হয়, চাঁদের গাড়ি, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে।

অপর দিকে যার প্রবেশ পথে দেখা মিলে পাহাড়িদের নানান জীবনযাত্রা। আর সু-বিশাল উঁচু পাহাড়ে সবুজের আড়ালে বাহারি বাগান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি চোখে পড়ার মতো যা দেখে ২০১৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির সম্মিলিত প্রচেস্টায় ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য যাত্রী ছাউনি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বসবাসকারীদের মানোন্নয়নে সুপেয় পানির সুবিধা।

আর এই পাহাড়ি গ্রামটি দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছে দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক।

সাজানো গোছানো শৈলচূড়া পাহাড়

৮ মার্চ দুপুর ২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয়, রাজশাহী থেকে আসা দম্পতি মোঃ জহির  হ্যাপি, চট্টগ্রামের কবির চৌধুরীসহ অনেকে এই প্রতিবেদক কে জানান,’কক্সবাজার ট্যুরিজম থেকে শুনে  হাজার ফুট উঁচু পাহাড় দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছি, কিন্তু উপরে উঠে ভয়ের চেয়ে আনন্দই বেশি পেয়েছি। কারন এ-ই উঁচু পাহাড়ি গ্রাম থেকে মেঘের মিতালির সাধ পেয়েছি যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।

পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য রয়েছে জেলা পরিষদের সরকারি রেস্ট হাউজ, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য  পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটকের ভাল মন্দ দেখাশুনা নিজেই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া।

এবিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানু ওয়ান চাক বলেন, নাই্ক্ষ্যংছড়ির প্রতিটি গ্রাম ও পাহাড় সমূহ একেকটি দর্শনীয় স্থান, এগুলোকে পর্যটনের রূপ দিয়েছে বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি এটিও সরকারের সাফল্য বলে জানান।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘পর্যটন সম্ভাবনাময় শিল্প। চলমান পর্যটন স্পটের পাশাপাশি নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র আবিস্কারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আছে এবং পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।’

এম/ই

35Shares

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়