বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চলছে অফিস সহায়ক দিয়ে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল ১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায় দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা সহ-সভাপতি তিনি গত ৩বার তার ৪নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন দিনের ভোট রাতে নিয়ে। তিনি ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে ২০২২ সালে দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে দৌছড়ি ইউনিয়ন সাধারণ নাগরিকদের বিভিন্ন হয়রানি করে এসেছেন শুধু তাই নয় ততকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের মুজিব বর্ষের ঘর দেওয়ার নামে ৩নং ওয়ার্ড উচাচুং চাকের স্ত্রী লাইয়াংচিং চাক, ২নং ওয়ার্ড মৃত্যু ফারুক আহমেদ এর পুত্র নুরুল হকসহ অসংখ্য মানুষের নিকট টাকা নিয়ে ঘর দেননি আবারও অনেক টাকা নিয়ে ঘর দিয়েছেন এছাড়াও সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ বর্তমান ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন, জায়তুন্নাহারসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন ইমরান চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ গরু থেকে প্রতিনিয়ত টাকা নিতেন এবং পুরো ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করতেন তাহার ভাই তাহার সন্তানসহ তাহার আত্মীয়-স্বজনেরা কেউ প্রতিবাদ করার তখন সাহস ছিল না কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলার আসামি হতেন।
৫ই আগষ্টের পর থেকে ইমরান চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে ইউনিয়নের জনসাধারণ মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন তাই তাহার অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ চালাচ্ছেন তার নিজস্ব অফিস সহায়ক ফরিদ আলম কে দিয়ে এই অফিস সহায়ক হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর ভাগিনা ইমরান চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ৫নং ওয়ার্ড মৃত্যু আলী আহমেদ এর পুত্র ফরিদুল আলম সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভিজিডি দিচ্ছেন অফিস সহায়ক ফরিদ আলম তিনি জানান আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমরানের নির্দেশনায় পরিষদের সকল কার্যক্রম তিনি পরিচালনা করে যাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বলেন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দৌছড়ি ইউনিয়নের সাধারণ নাগরিক গন দ্রুত এই আওয়ামী লীগের দোসর ইমরান চেয়ারম্যান কে অপসারণ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমরানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানাল প্যানেল চেয়ারম্যান এর সাক্ষরে ভিজিডি বিতরণ করা হয়।এর পরও যদি অফিস সহায়ক ভিজিডি বিতরণ করে থাকে আমি সেটা দেখব।
তিনি আরও জানান আমি বিচার কার্যের দিন ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যায় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকার পরও পিয়ন দিয়ে পরিষদ পরিচালনা করা খুবই দুঃখজনক সে বিষয়ে তিনি দেখবেন বলে জানান