বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অনিয়ম আর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে তুমব্রæ সড়কের ১০ কিলোমিটার রাস্তার দরপত্র আহবান করা হয়।
রাস্তাটি পাকাকরণের দায়িত্ব পায় বান্দরবানের মেসার্স মিল্টন ট্রেডার্স এন্ড কে হোছাইন এন্ড সিও (জেবি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই লাইসেন্সে কাজটি করছেন বান্দরবানের ঠিকাদার কামাল হোসেন (প্রকাশ লেস কামাল)।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন শীর্ষক (সিএএফডিআরআইআরপি) প্রকল্পের এই কাজটি চলতি বছরের ২৬ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। সড়কটির প্রাক্কলিত মূল্য ৬ কোটি ৩২লাখ ৯৫ হাজার ১৪৮ টাকা এবং চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫কোটি ৬৯লাখ ৬৫হাজার ৬৩৩টাকা। কিন্তু এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সড়কে ১৫এমএম সিল কোড ধরা থাকলেও তার অর্ধেক করা হয়েছে কিনা সন্দেহ স্থানীয়দের। পয়েন্ট ৫ এফএম বালুর পরিবর্তে লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ইটের খোয়া ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও সেখানে ৭৫ থেকে ১০০ এমএম তৃতীয় শ্রেণির ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া সড়ক সংলগ্ন প্যালাসাইডিং নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যা ও পাহাড় ধস পরবর্তী সময় যেভাবে সড়ক ও প্যালাসাইডিং কাজে পাইপের দূরত্ব ও গভীরতায়ও সুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে ঠিকাদার। যার কারনে নির্মাণের কয়েকদিনেই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, ড্রেন নির্মাণে পাথরের সাইজ ঠিক নেই। সম্প্রতি রাতের আধারে অনিয়ম আর নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার সময় স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পড়েন শ্রমিকরা। পরে উপজেলা এলজিডির কর্মকর্তারা পরিদর্শণ করে নিম্মমানের সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কামাল হোসেন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে গতকাল একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি এলজিইডির প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, রাতে কাজ করার সময় ঠিকাদারকে সর্তক করা হয়েছিল। সিডিউল অনুযায়ী কাজ আদায় করে নেওয়া হবে ঠিকাদার থেকে। কোন ধরনের কাজে মান খারাপ করতে দেওয়া হবে না।
……………………