দীর্ঘ ১৮ বছর পর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেলিম ফিউচার পার্কে ইউনিয়ন ইমারত শাখার আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
খুটাখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শাহাবুদ্দিন আরমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের ইতিহাস আয়না ঘরের ইতিহাস, হত্যা-দুর্নীতির ইতিহাস। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার যে রাজাকার নামটি ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগে, মিথ্যা মামলায় আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের শহীদ করেছেন সেই রাজাকার শব্দটি জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এই স্বৈরাচার সরকার হতে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীনতার স্বাদ। এই অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা খুন, গুম ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।
সম্মেলনে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড হতে দলটির কর্মী সমর্থকরা দুপুর হতে দলবদ্ধভাবে সম্মেলনে অংশ নেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর সম্মেলনস্থলে জেল-জুলুমের শিকার, নির্যাতিত-নিপিড়িত অনেকের সাথে স্বশরীরে সাক্ষাতের মুহূর্তটি ঈদোৎসবে পরিণত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক, জেলা জামায়াতের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ করিম, অধ্যক্ষ ওমর হামজা, আবু নাঈম আজাদ, ওলামা মাশায়েখ নেতা মাওলানা আবুল ফজল, জামায়াত নেতা মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা জাহেদুল ইসলাম নোমান প্রমুখ।
এসময় স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধি এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।