১৪ ডিসেম্বর ঢাকার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমন্যাসিয়ামে ৫ম জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় মোট ১২০ পদকের মধ্যে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা অর্জন করে ৯৬টি। অর্জিত পদকের মধ্যে ৪১টি স্বর্ণপদক, রৌপ্য ৩০টি ও ব্রোঞ্চ ২৫টি। সারাদেশ থেকে আগত জিমন্যাস্টদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় একক ও দলগতভাবে ছেলে এবং মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই কোয়ান্টাম কসমো স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়।
দুই দিনের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৪৮টি স্কুল ও দুটি মাদ্রাসার ২৩৫ জন প্রতিযোগী। ঢাকার স্কুলগুলো, বিকেএসপি, দিনাজপুর, নারায়ণঞ্জের পুবেরগাঁও, পটুয়াখালী, যশোরের আরো কয়েকটি অঞ্চল থেকে এসেছে ছেলেমেয়েরা। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। ৭-৮, ৯-১০, ১২-১৪ ও ১২-১৫ বছর বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়েছে এবার। ৬টি বিভাগে ৩৪টি ইভেন্টের সবকটি স্বর্ণই জিতেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল।
ছেলেদের বিভাগে ৫টি ব্যক্তিগতসহ সর্বোচ্চ ৬টি সোনা জিতেছে ওয়েওয়েসাই মার্মা। মেয়েদের মধ্যে সিংমেনু মার্মা জিতেছে সর্বোচ্চ ৩টি সোনা। ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়নও হয়েছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের এই দুজন।
কোয়ান্টাম শিক্ষাসেবা কার্যক্রমের ইনচার্জ ছালেহ আহমেদের কাছে তাদের স্কুলের এই সাফল্যের রহস্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্মানিত প্রশিক্ষকরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আর নিয়মিত অনুশীলন ও লক্ষ্য পূরণের ইচ্ছাই আমাদের জিমন্যাস্টদের সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন। এ সময় ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আহমেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিল উপস্থিত ছিলেন। জিমন্যাস্টের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য এসেছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক জিমন্যাস্ট মামুনুল ইসলাম।