চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেনো মৃত্যু ফাঁদ। প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই আবার অনেকে বরণ করেছেন পঙ্গুত্ব।
যার নেপথ্যে অন্যতম কারণ, মহাসড়কে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, লবণবাহী পরিবহন থেকে লবণের পানি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়া, অবৈধ ডাম্পার গাড়ি দিয়ে মাটি পরিবহন , সড়কের তুলনায় সড়কের পার্শ্ব নিচু প্রভৃতি।
এছাড়াও, হাইওয়ে থানা পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ না থাকাও অন্যতম একটি কারণ। কেননা, হাইওয়ে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ থাকলে সড়কে অনেকাংশে শৃঙ্খলা ফিরে আসতো এবং সড়ক দূর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারানো কিংবা পঙ্গুত্ব বরণের হার অনেকাংশে কমতো। কিন্তু, এ নিয়মের কোন বালাই না থাকায় একের পর এক ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।
এমনকি, তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ঘন্টার ব্যবধানে চিরিংগা হাইওয়ে থানার আওতাধীন পৃথক স্থানে ২টি সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৩জন যুবক।
প্রথম ঘঠনা গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হারবাং আজিজনগরে লরির চাপায় ২ যুবকের মৃত্যু হয় এবং দ্বিতীয় ঘটনা পরদিন রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ইসলামনগর মাজার গেইট এলাকায় ডাম্পারের ধাক্কায় আরো ১জনের মৃত্যু হয়।
শনিবার রাতে নিহত ২ যুবক হলেন- চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের হেলাল উদ্দীনের ছেলে মো: সোহেল(১৯) এবং একই গ্রামের জয়নাব আলীর ছেলে তানভীর হোসেন রিফাত(১৮)। উভয়েই কক্সবাজার থেকে ভ্রমণ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এছাড়াও পরদিন রবিবার নিহত হন পেকুয়া উপজেলার শীলখালী লামাপাড়ার মৃত জাফর আহমদের ছেলে বোরহান উদ্দিন(৪২)।
দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আরিফুল আমিন। এসময়, আরো জানান, পৃথক ঘটনাস্থল থেকে গাড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।