নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, আহলান সাহলান,মারহাবা মারহাবা বলে শ্লোগান দিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ফাইতং ইউনিয়ন পাশ্ববর্তী চকরিয়া বরইতলী সুনামধন্য ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বানিয়ার ছড়া দারুল উলুম আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও খতীবে আজম রাঃহ এতিমখানা’য় পক্ষ থেকে চকরিয়া-পেকুয়া এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান’কে সংবর্ধনা ও অভিনন্দন ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
(০১ই জুন) শনিবার সকাল ১০টায় মাদ্রাসা হল রুমে মাদ্রাসা পক্ষ, বানিয়ার ছড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভিন্ন ফুলের তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অতিথিদের’কে। এবং পাশে আল আমীন স্কুল এন কলেজ পরিদর্শন করেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সভাপতি মো.আব্দুল জলিল কোম্পানি সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য, মেজর জেনারেল (অবঃ) ছৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক (এমপি) বিশেষ অতিথি হিসেবে চকরিয়া উপজেলা পরিষদে দুই দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ, মাওলানা মীর কামাল, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন বিএ, সহসভাপতি মাহামুদুর রহমান শুক্কুর, ফাঁসিয়াখালী মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা এহসানুল হক, নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওয়াহিদুল ইসলাম, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সহ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বক্তব্য বলেন, এই মাদ্রাসা শিক্ষা, চলাচল রাস্তা, ব্রিজ, মাদ্রাসা উন্নতি করার ব্যবস্থাকে আলোকিত ও বিকশিত করা হবে। মাননীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সুদৃষ্টি থাকবে। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামি মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। বাংলাদেশ বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছে অনেক। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে এর গুরুত্ব অনেক। এমন কোন মসজিদ মাদ্রাসা নেই যেখানে সরকারের অনুদান পৌঁছায়নি। সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে এলাকার বাসী সকল দাবী এমপি ও উপজেলা পরিষদ পক্ষ থেকে আগামী ২-১ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
এলাকার পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল কোম্পানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির কাছে দাবী জানান ১০টি,
১. আরাকান সড়ক থেকে মাদ্রাসা পর্য একটি রাস্তা।
২.ছড়া উপর একটি ব্রিজ স্থাপন।
৩. রেজিট্রেট এতিমখানার জন্য একটি ছাত্রাবাস ও একটি জামে মসজিদ।
৪.বানিয়ার ছড়া ষ্টেশন মসজিদের জন্য দ্বিতীয় তলার টিনের ছাউনি ও নিচের তলায় পানি উঠার কারণে নিচ তলা সংস্কারকরণ করা।
৫. বানিয়ার ছড়া স্টেশনে ব্যাপক মানুষের সমাগম হওয়ায় শোচাগার প্রয়োজন।
৬. বানিয়ার ছড়া স্টেশনের জন্য পানি নিষ্কাশন ফাইতং রোড়ে ৪ চেইন (প্রায়)।
৭. এলাকার ৪টি রাস্তা আলম ডাঃ বাড়ি হতে ইউসুফ মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত।
৮. শহিদুল মেম্বার বাড়ি হতে কালা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত। ৯. এলাকায় হাতির বিভিন্ন সময়ে আক্রমণে আতঙ্কা থাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল ৪০টি প্রয়োজন।
১০. আরাকান সড়ক হইতে মাদ্রাসা পাড়া উক্ত চলাচলের রাস্থার উপর ব্রিক সলিন প্রয়োজন। সর্বোচ্চ শেষ এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ১০টি করে দিবেন বলে ওয়েদা দেন।অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বানিয়ার ছড়া মাদ্রাসা শিক্ষা পরিচালক মাওলানা এনামুল হক, ছাত্রদের পক্ষ থেকে মানচিত্র পাঠ করে হাফেজ তসিফুল ইসলাম, মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা হাসান আলী মুনাজাত মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি করে।