কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে জমি বিরোধ জেরে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দিনেদুপুরে হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে ও কুপিয়ে নারীসহ ৬ জনকে গুরুতর জখম করেছে। শনিবার ১৩ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে বিএমচর খাসমহাল জামে মসজিদের পাশে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন বিএমচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেতুয়ারকুল এলাকার বাসিন্দা জমি মালিক স্থানীয় মৃত মোস্তাক আহমদ এর ছেলে মসজিদের মুয়াজ্জিন ফরিদুল আলম (৭০), ফরিদুল আলম এর ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪২), জুনাইদুল ইসলাম এর ছেলে আবুল কাশেম (১৮), নবী হোসেন এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২২), ফরিদুল আলম এর ছেলে নেজাম উদ্দিন (৩৬) ও আসহাব উদ্দিন এর স্ত্রী আজবাহার বেগম (৩২)।
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত জয়নাল আবেদীনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অন্য আহত আবুল কাশেম, শহিদুল ইসলাম ও ফরিদুল আলমকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
জমি মালিক আহত ফরিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, বেতুয়ারকুল এলাকার বাসিন্দা মৃত আবদুল আলীর ছেলে ছৈয়দ আহমদ ও মৃত আবদুল হাকিম এর ছেলে নুর আহমদ গং আমার পৈতৃক বেশকিছু জায়গা দখলে নিতে নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনায় আমরা বারবার বাঁধা দিয়ে তাদের অবৈধ দখল চেষ্টা রুখে দিয়েছি।
এরই জেরধরে সর্বশেষ শনিবার দুপুরে দখলবাজ ছৈয়দ আহমদ ও নুর আহমদ গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জড়ো জড়ো করে অবৈধ অস্ত্রে দলবদ্ধ হয়ে ১০/১২ জনের একটি দল আমি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার মুহূর্তে হামলা চালায়। আহত ফরিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, হামলার সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামাল উদ্দিন মনু নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা প্রথমে আমার উপর ও পরে আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা আমার ছেলে এবং আত্মীয় স্বজনের উপর গুলিবর্ষণ করে। কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করবেন বলে জানিয়েছেন আহত জমি মালিক ফরিদুল আলম।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার দুপুরে বিএমচর ইউনিয়নে দুইপক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুইপক্ষের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে এজাহার জমা দেওয়া হলে এব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।