বৃহস্পতিবার- ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

dainiknilgiri.com
প্রচ্ছদ /

উত্তর হারবাং এ গরু চোরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

চকরিয়া উপজেলা হারবাং ইউনিয়ন এর উত্তর হারবাং (৯নং ওয়ার্ড ভিলেজের পাড়া নামক এলাকায় গরু চোরের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনসাধারণ।

৩১ ডিসেম্বর, ২৪ইং(মঙ্গলবার)  সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় পশ্চিম ভিলেজের পাড়া নামক এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তর হারবাং ভিলেজের পাড়া মানুষের জীবন জীবীকা চলে কৃষি কাজের মাধ্যমে। ক্ষেতের ফসল ও গোয়াল ঘরের গরু-ছাতল,হাঁস-মুরগি বিক্রির মাধ্যমে চলে প্রতিটি সংসার।সহায় সম্বল হিসেবে তাদের রয়েছে এই গবাদি পশু। দূর্ভাগ্যবশত গত কয়েকবছর ধরে এমনভাবে গরু চুরি বেড়েছে যা একেবারেই অকল্পনীয়। যা মানুষের এক আতংকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে আব্দুল মজিদ জানান, আমার তিনটি গরু চুরি হয়েছিল।আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন,আমার দুইটি গরু কিছুদিন আগে চুরি। এখন লোহাগাড়া থানায় চোর আটক হওয়ার পরে জানতে পারলাম মুল হোতা শাহাজাহান।

সদ্য ভুক্তভোগী বেলাল বলেন,গত বৃহস্পতিবার আমার তিনটি গরু চুরি হয়, যারা চুরি করেছে তাদের মধ্যে দু’জন লোহাগাড়া থানায় আটক হলে আমি সাথে সাথে থানায় গিয়ে গরু সনাক্ত করি এবং এগুলো আমার বলে নিশ্চিত হয়।আটককৃত চোর দুইজন জসিম উদ্দিন, পুঁটি বিলা, লোহাগাড়ার বাসিন্দা ও অন্যজন সৈয়দ নূর,কলাতলী, উত্তর হারবাং, চকরিয়ার বাসিন্দা। আটককৃত চোরদের স্বীকারোক্তি মতে জানান উত্তর হারবাং ভিলেজের পাড়ার বাসিন্দা শাহাজাহান মূল মাস্টারমাইন্ড বলে জানা যায়।শাহাজাহান আমার ঘরের পাশেই থাকে,সে আপাতত পলাতক আছে।

ভিক্টিম মোহাম্মদ শফি জানান, আমিও একজন ভিক্টিম। দুই ধাপে আমার ৫টি গরু চুরি হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৫,৮০,০০০ টাকা।গত বৃহস্পতিবার গরু চুরি হওয়ার পর তাদের সাক্ষ্য মতে শাহজাহানকে মাস্টারমাইন্ড বলে সনাক্ত করা হয়েছে।তার সাথে যোগাযোগ করলে সে সবাইকে হুমকি দিয়ে আসছে এবং শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে।এই এলাকার মানুষের জীবীকা চলে হালচাষ এবং গরু ছাগল লালনপালন করার মাধ্যমে। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে শাহজানকে গ্রেপ্তার করে গরু চুরির হাত থেকে এলাকাকে মুক্ত করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আশা করছি।

 

সমাজ প্রতিনিধি মহিউদ্দিন বলেন,লোহাগাড়া থানা থেকে খবর পেলে আমরা সনাক্ত করতে সেখানে যায়।সেখানে গরু সনাক্ত করি এবং আটককৃত চোরদের স্বীকারোক্তি মতে তারা শাহাজানের নাম প্রকাশ করে। শাহাজাহান নাম প্রকাশ হলে তারপর থেকে সে পলাতক অবস্থায় আছে। এই এলাকার মানুষের একমাত্র সম্বল পালিত গরুগুলো যদি এমনভাবে চোরি হয়ে যায় তাহলে আমাদের জন্য বেঁচে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হয়।

উত্তর হারবাং সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,এলাকার মানুষের আয়ের উৎস তিনটি, পানেরবরজ,হালচাষ ও গবাদি পশু পালন।এখানে সবচেয়ে দরকারী যে গবাদি পশু গরু যদি এমনভাবে চোরি হয় তাহলে আমাদের এই নিরীহ মানুষদের জীবন একেবারে শেষ হয়ে যাবে। পুরো এলাকাবাসী এই গরু চুরি থেকে পরিত্রাণ চাই এবং দোষীদের যথাযথ বিচার চাই।সবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।

35Shares

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়