বান্দরবানের আলীকদম থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে নারী ও শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে (রোহিঙ্গা) আটক করেছে ৫৭ বিজিবি আলীকদম।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আলীকদম সদর ইউনিয়নের আমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মমিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকদের মধ্যে ৯ জন নারী, ১০ জন পুরুষ ও ১৪ জন শিশু রয়েছে। তারা সকলেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।
স্থানীয়রা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম উপজেলা সদরের আমতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)। এ সময় আমতলী আশ্রয়ন প্রকল্পের অফিস তল্লাসি করে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ৩৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নিরাপদ জীবনের আশায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে তারা। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের এই অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র।
২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর আলীকদম উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পৃথক তিন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের পোয়ামুহুরী সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৮১ জন, এ বছরের ১১ জানুয়ারি উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের বুচিরমুখ এলাকা থেকে ৫৮ জন ও আজ ৩৩ জনসহ এই তিন দফায় আলীকদম থেকে ১৭২ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৬০ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০০ জন মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন। বাংলাদেশি দালাল চক্রের সহায়তায় জন প্রতি আট হাজার টাকার বিনিময়ে প্রথমে পাহাড়ভাঙা পাড়া ও মাছকুম পাড়া হয়ে মেনলে পাড়া এলাকায় পৌঁছানো হয় তাদের। সেখান থেকে সিন্দু ও নিন্দু পাড়া হয়ে পোয়া মুহুরীতে পৌঁছালে সবাইকে বাংলাদেশিদের মতো কাপড় পড়িধান করানো হয়। পরে পোয়ামুহুরী হয়ে নাইক্ষংছড়ি বাইশারী হয়ে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব মিয়ানমার নাগরিকদের।
ইউএনও আবদুল্লাহ আল মমিন বলেন, ‘আটক রোহিঙ্গা মিয়ানমার নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।