চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)মোঃ শরীফ উদ্দীন বলেছেন নৈতিক শিক্ষার অভাবে অধিকাংশ প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী ও সরকারি,বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পিতামাতার স্হান হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে।
তাঁদের সন্তানেরা ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,ব্যারিষ্টার হয়েছে, পরিবার ইউরোপ আমেরিকায় আছেন।অনেক টাকা খরচ করে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়াম ও বড় বড় স্কুলে পড়ালেখা করিয়েছেন।কিন্তু প্রকৃত ভালো মানুষ হবার যে উপাদান সেটা আমরা দিতে পারিনি।
তাদের আমরা বৈধ কিংবা অবৈধভাবে প্রতিযোগিতায় তৈরী করেছি বলেই তারা আমাদের নিয়ে ভাবছেনা।তারা ভাবছে তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে।তাই বৃদ্ধাশ্রমে নয় নিজ সন্তানদের সাথে যাতে পিতামাতার স্হান হয় সে শিক্ষায় সন্তানদের তৈরি করতে হবে।
২৬এপ্রিল(শনিবার)বেলা ১১টায় লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পাবলিক হলে আয়োজিত চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইউএনও ওপেন বুক টেষ্ট প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আজকাল পত্রিকার পাতা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের উপর নির্যাতনের খবর আমাদের ব্যথিত করে,লজ্জায় মাথা নত হয়।আমরা শিক্ষকদের কথা মানছিনা।এমন ও হয়েছে ছাত্রদের দেয়া অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ ও বেছে নিয়েছেন অনেক শিক্ষক।এ লজ্জা আমার আপনার নয়, পুরো জাতির।তাই তিনি ভালো শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার আগে সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শও দেন তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত পুরস্কার বিতরনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কাজী শফিউল ইসলাম।
অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম, বড়হাতিয়া মিশকাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নাছির উদ্দীন,ছাত্র অভিভাবক বিচিত্রা বালা দেবী প্রমূখ।
অনুষ্টানে উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্হান বিজয়ীদের মাঝে ল্যাপটপ সহ ১১জন বিজয়ী ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ৭৮জন বিজয়ীদের মাঝে বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
প্রসঙ্গতঃচট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন সাধন করে সব মহলের নজর কেড়েছেন। সরকারি এ কর্মকর্তা লোহাগাড়ায় যোগদানের পরপরই সুধীজন ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে গ্রহণ করেন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এর অংশ হিসেবে শিক্ষকদের মাসিক সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে তাদের কার্যক্রম, ইনোভেশন ও শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তিনি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে ও বিভিন্ন সাব-ক্লাস্টারে আয়োজিত পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে শিক্ষকদের পারদর্শিতা ও সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত মনিটরিং শুরু করেন। এছাড়াও আকস্মিক স্কুল পরিদর্শন করে ছাত্র-শিক্ষক উপস্থিতির হার পর্যবেক্ষণ ও আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে যুগোপযোগী পাঠদানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।