বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে অগ্নি কান্ডের ঘটনায় ৪ দোকান ও ৪ ফ্যামিলি বাসা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৬ মে) ভোররাত ৪ টার দিকে বাইশারী বাজারের হাফেজ খানা সংলগ্ল আবদুস সালাম প্রকাশ কেরাম মাঝির মালিকানাধীন দোকান ঘর ও ভাড়া বাসায়। এসময় চারটি দোকান ও চারটি ফ্যামিলি বাসা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানের মধ্যে রয়েছে, কামাল হোসেনের এস্ক্রাপের দোকান, জাহাংগীর এর মুদি দোকানের রক্ষিত মালালাল এর দোকান, রাবার ব্যবসায়ী আজম ও ইউছুপ নবী মজুদ করা রাবার, ওসমান ও জালাল আহাম্মদের কাপড়ের গাইড ছিল বলে তারা জানান।
এতে দোকান ঘর ছাড়া ক্ষতির পরিমান ২০ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক পর্যায়ে ধারনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষ দর্শী ও বাসায় অবস্থান করা ব্যবসায়ী জাহাংগীর আলম জানান, প্রথমে তার পাশের দোকান থেকে আগুনের সুত্র পাত দেখে ঘুমন্ত লোকজনকে সজাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার কথাটি ঘোষনা করার পরপরই শত শত লোকজন এসে আগুন নিভানোর প্রাণপণ চেষ্টায় শত শত দোকান রক্ষা পায়।।
তবে কিভাবে আগুন লাাগল বিষয়টি কেউ জানেনা বলে জানান। অনেক বলেন , হয়ত মশার কয়েল থেকে আগুনের সুত্র। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল আসেন বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শোভন সাহা ও সংগীয় ফোর্স।
এছাড়াও ঘটনা স্থলে আসেন বাইশারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি। তিনি বিষয়টি কতৃপক্ষকে আবগত করছেন বলে জানান।
বাইশারী বাজার সভাপতি জাহাংগীর আলম বাহাদুর বলেন কিভাবে আগুল লাগল তা এখনও জানা যায়নি। তবে মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। আগুন নিয়ন্ত্রন করা না গেলে বিশাল বাজার রক্ষা করা যেতনা। তিনি আরো বলেন মালামালের ক্ষতি হলে ও ঘুমন্ত মানুষ গুলু নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারায় মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে তিনি অবগত করেছেন। ঘটনাস্থলে পি আইওকে পাঠানা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা তৈরী করে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।