বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠন ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মহাসমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর থেকে বান্দরবানের সাত উপজেলার হাজার হাজার মানুষ মিছিল সহকারে এসে বান্দরবান প্রেসক্লাব এলাকায় অংশ নেন।
তাদের হাতে ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বাঙ্গালীদের বৈষম্য বিরোধী নানা ¯েøাগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন। এসময় শহরের ট্রাফিক মোড়, ঈদগাও মাঠ, সাঙ্গু ব্রিজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত¡রসহ আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নানা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো শহর এলাকা।
পাহাড়ে বাঙ্গালীদের স্বার্থ নিয়ে সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগদেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবর্গসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
বিকেলে মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো: মজিবর রহমান বলেছেন- আমরা যারা বাঙ্গালী, আমরাই আদিবাসী। অন্যকোন আদিবাসী এখানে নেই।
প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মুখ ফসকে উপজাতিদের আদিবাসী উল্লেখ করেছেন। এই বক্তব্য তাঁকে প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি দায়িত্বশীল মানুষ। সংবিধান অনুযায়ী উপজাতিরা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের যথেষ্ট আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আপনার কাছে আমরা ইনসাফ আশা করি। এই বক্তব্য আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে চুয়ান্ন শতাংশ বাঙ্গালী একযোগে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিবে।
সমাবেশে তিনি রাজার সনদ প্রথা বাতিল, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদসহ সকল ক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের সমান অধিকার, গত ১৫ বছরে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বাজার ফান্ড চালু, মানবাধিকার রক্ষা এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্টা না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য জেলাতে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলো পুন:স্থাপন, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কার্যক্রম জোরদার করার দাবী এবং সম্প্রতি সময়ে উপজাতিদের নানা ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহŸান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মহাসচিব মো: আলমগীর কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) তারু মিয়া, সহসভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো: এরশাদ চৌধুরী, সংগঠনের উপদেষ্টা ও হোটেল মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসীম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা এইচ এম স¤্রাট, মো: কামরুজ্জামান, পার্বত্য মহিলা পরিষদ সভানেত্রী খুরশিদা ইছহাক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদ সভাপতি মো: আসিফ ইকবালসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মী।