চলমান উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনী খরচ যোগাতে কোন কাজ না করেই তিনটি প্রকল্পের মোট ১৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে লামার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা জামালের বিরুদ্ধে।
সুত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডি থেকে তিনটি প্রকল্পের মোট ১৬ লক্ষ টাকা কোন কাজই করা হয়নি কিন্তু প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে পুরো টাকা উত্তোলন করে ফেলেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা জামাল। তাকে টাকা উত্তোলনে সহায়তা করেছে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকের হোসেন।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে, নৌকা কেনা বাবদ ৩ লক্ষ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাস ভবনের সীমানা প্রাচীরের জন্য ৬ লক্ষ টাকা এবং মাতামুহুরী নদীতে সাঁকো তৈরীর জন্য ৭ লক্ষ টাকাসহ মোট ১৬ লক্ষ টাকা।
লামা এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকের হোসেনদ বলেন, শুনেছি নৌকা কিনেছে আর সীমানা প্রাচীরের জন্য ইট আনা হয়েছে। সাঁকোর ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।
তবে সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, এখনো কোন কাজই দৃশ্যমান হয়নি।
এই ব্যাপারে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা জামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, প্রকল্পগুলোর কাজ করা হয়েছে। কোথায় করা হয়েছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আপনি খুঁজে নেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনার পর ওনাকে (১৮ মে) তারিখের মধ্যে প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু কতটুকু করেছে আমার জানা নাই।