বান্দরবানের লামায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একদিকে ক্ষমতাসীন দলের ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রভাব বিস্তার ও হুমকী ধমকী অন্যদিকে বহিরাগতদের কাজে লাগিয়ে উৎপাত সৃষ্টির করার চেস্টা করার অভিযোগ উঠেছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন ভিন্ন তিনটি উপজেলার সাথে সংযুক্ত থাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের আসা যাওয়া বেড়েই চলছে। ফলে বড় ধরনের সংঘাতের আশংকাও দেখা দিয়েছে।
তাছাড়াও, এই ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ইউপি চেয়ারম্যান থাকায় তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধমকী ও সরকার সমর্থীত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যও জোর জবরদস্তি করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে (১৮ মে) শনিবার, রাত পৌনে ৮ টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালিতে বহিগতদের দিয়ে হামলার ঘটনায় তিনজন আহতের খবরও পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে আজিজনগর, ফাইতং ও সরই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানায়, ইউনিউয়নগুলো লোহাগাড়া এবং চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় রীতিমতো বহিরাগতদের আসা যাওয়া বেড়েই চলছে । তাতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সাধারন জনগণ ভোট দিতে পারবে কিনা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, ক্ষমতাসীন দলের ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা সদর থেকে কিছু আওয়ামীলীগ নেতা এসে এই ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করেই যাচ্ছে। তাছাড়াও চকরিয়া থেকে বহিরাগতরা তো রীতিমতো আসা যাওয়া করছেই। এতে ভোট সুষ্টু হবে কিনা জনমনে প্রশ্নের জাগা শুরু করেছে।
এদিকে রুপসী পাড়া ইউনিয়ন আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঐ উপজেলা থেকে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভোট গ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও জানায় এলাকাবাসী।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত ম্যাজিস্টেটসহ বিজিবি ও পুলিশ মোতায়ন করা হবে। আশা করছি নির্বাচন সুষ্টু একটা নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
প্রসংগত, জেলা রিটার্নিং অফিস ও সহকারী রিটার্নিং অফিসের তথ্যমতে, আগামী ২১ মে বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।