নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বান্দরবানে উদযাপিত হয়েছে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ তম বর্ষপূতি।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের সহযোগিতায় ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের প্রাঙ্গনে শান্তি পায়রা উড়ানো হয়। পরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের হলরুমে কাটা হয় কেক।
এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মঞ্জুরুল হক, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাধবী মারমা। কেক কাটা শেষে পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। এর আগে বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচীর আয়োজন করে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
এদিকে সকাল ১০ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজনে রাজার মাঠে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সব ধারা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে, পাহাড়ে অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চরিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সুমন মারমা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব উবাসিং মার্মা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চরিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সালিম রেজা নিউটন। এছাড়াও পাহাড়ের অন্যতম সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আয়োজনে সদরের একটি হোটেলের সভাকক্ষে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভার। পরে বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।