কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মাহামুদুল করিমের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১৮ নভেম্বর (সোমবার) রাত ১০টার দিকে চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের মৌলভীরকুম বাজারস্থ মাতামুহুরি রেষ্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, মাহামুদুল করিমের সাথে থাকা তার চাচা ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম জানান, রেইন কমিউনিটি সেন্টার এলাকা থেকে দলীয় অফিস সংক্রাম্ত বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক শেষ করে ভাঙ্গারমুখের দিকে আসার প্রাক্কালে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর আলীর চায়ের আমন্ত্রণে নেতাকর্মীদের নিয়ে মৌলভীরকুম বাজারস্থ মাতামুহুরি রেষ্টুরেন্টে চা খেতে ঢুকেন তারা। কিন্তু, হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ঝিলমিল রেষ্টুরেন্টে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ইয়াবা কারবারী ও গরুচোর চক্রের অন্যতম সদস্য, পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের শামসুল আলমের ছেলে মোঃ কাজলের নেতৃত্বে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের জাফর ড্রাইভারের ছেলে মো. জাহেদ, মো. বাপ্পী, মো. জকরিয়ার ছেলে মো. রানা, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আব্বাস উদ্দিন, মোক্তার আহমদ, কালাম ড্রাইভারের ছেলে তৌহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আ.লীগ ও বিএনপির সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী-বাহিনী কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিতভাবে এ হামলা চালায়। এসময়, তাদের হাতে থাকা চায়না কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাহামুদুল করিমের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সঙ্গীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে মাহামুদুল করিমকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহামুদুল করিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু মাতামুহুরি রেষ্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বুঝা যাবে এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা আরো সহজ হবে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মাহামুদুল করিমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ৯নং ওয়ার্ডের মৌলভীরকুম বাজার এলাকাটি মাদক ও ইয়াবাকারবারীদের হটস্পটে পরিণত হয়েছিলো। সম্প্রতি ৭নং ওয়ার্ডের শামসুল আলমের ছেলে মো. কাজল সহ বেশকিছু মাদককারবারীকে স্থানীয় সচেতনমহল ও আমরা বিএনপি পরিবারের নেতাকর্মীরা মিলে তাদের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে সাবধান করি। এরপর থেকে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমার প্রতি। যার ফল-স্বরুপ সর্বশেষ তারা গতকাল রাতে আমার উপর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী’র কাছে জানতে চাইলে বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে ঘটনার তদন্তপূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।