বৃহস্পতিবার- ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

dainiknilgiri.com

বান্দরবানে জুম চাষের নামে পাহাড় ন্যাড়া

কে শুনবে পাহাড়ের কান্না?

কে শুনবে পাহাড়ের কান্না?

যেদিকে যতদূর চোখ যায়,দেখা যায় শুধু ন্যাড়া পাহাড়। এ যেনো মাথা ন্যাড়া করার মতো অবস্থা। ছোট বড় এমন কোন পাহাড় নাই যেটি কম বেশি ন্যাড়া করা হয়নি। পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে জুম চাষের নামে পাহাড় ন্যাড়া করে এভাবেই চলছে সবুজ বন ধ্বংসের উৎসব। বলছি বান্দরবানের পাহাড়ের কথা। থানচি, লামা আলীকদম, রোমা, রোয়াংছড়ি উপজেলায় যেনো এসব চিত্র নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িছে।

দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এই প্রকৃতির রূপে ভরা বান্দরবানে সবুজ পাহাড় দেখতে আসে কিন্তু তারা দেখছে এখন ন্যাড়া ন্যাড়া পাহাড় আর বিরক্তও হচ্ছে বেশ।

ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, আসছিলাম প্রাকৃতিক রূপ দেখতে কিন্তু এখন দেখছি সব ন্যাড়া পাহাড়। যারা একবার আসবে দ্বিতীয়বার আর আসবে বলে মনে হয় না।

অথচ সবুজ পাহাড় দেখতে এবং মনের ক্লান্তি দূর করতে বার বার ছুটে আসে হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। কিন্তু এখন সবুজ পাহাড়ের বদলে তারা তার বিপরীতটায় দেখতে পাচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে দেশের অতিগুরত্বপূর্ণ একটি পর্যটন জেলার শতশত পর্যটন স্পট।

তাছাড়াও সুক্ষভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে, দেশে বিগত দশ বছরের ব্যবধানে অনেক গুণ হারে বেড়ে গেছে গরমের তীব্রতা। আগের মতো নিয়মমাফিক বৃষ্টিও হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেও ভয়াবহ বন্যায় পরিণত হচ্ছে।

পরিবেশববাদিরা বলছেন, গাছপালা না তাকার কারনে অতিবৃষ্টিতে পানি ধরে রাখতে পারছেনা মাটি। ফলে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সমস্ত কিছুর কারন হচ্ছে গভীর বনজঙ্গল নিধন, গণহারে পাহাড় ন্যাড়া করা ইত্যাদি।

রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা আরেকজন পর্যটক বলেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পরিবেশ রক্ষার্থে বন সংরক্ষণ করে যাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে চলছে গণহারে বন ধ্বংসের প্রতিযোগিতা। বিষয়টি খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে ভবিষ্যতে। আমরা এতো দুর থেকে এই ন্যাড়া পাহাড় তো দেখতে আসিনি।

3Shares

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়