বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়নি এলাকাবাসী।
গতকাল রোববার থেকে ২৫ মার্চ সোমবার এই রিপোর্ট লিখা ও পাঠানো পর্যন্ত সরজমিনে গিয়ে সীমান্তবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়
নাইক্ষ্যংছড়ির ৬২ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে কয়েক দিন ধরে শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সম্প্রতি সীমান্তের ওপারে একের পর এক গুলি, মর্টারশেলের শব্দে এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত থাকায় অনেকে ফিরেছে নিজ বাড়িতে। জমিতে কাজ করছেন কৃষকরা। এ ছাড়াও সীমান্ত সড়কের কাজ ও চলমান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফরিদুল আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের সীমান্ত পয়েন্টগুলো শান্ত অবস্থায় রয়েছে। জামছড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের ৪৫ থেকে ৪৭ নম্বর পিলার দিয়ে এখন কোনো বিস্ফোরণের শব্দ আসেনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, সীমান্ত এলাকা বতর্মানে ভালো আছে, মিয়ানমার থেকে গোলাবারুদসহ বিস্ফোরণের শব্দ আসছে না তার এলাকাতে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ সময়ের আলোকে বলেন, ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি শান্ত, কোনো গুলির শব্দ নেই। গ্রামবাসী বর্তমানে আতঙ্কমুক্ত। সীমান্তে বসবাসরত মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক বলে জানান
এদিকে মিয়ানমার সংঘাতের কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন সদস্যকে শিগগিরই সে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। শুক্রবার খাগড়াছড়ির রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের স্মৃতিস্তম্ভ ও রামগড় আইসিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাদের দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে মিয়ানমারের ১৭৭ জন সৈন্য বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে। তাদেরও আগের মতো দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করা হবে।
জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে গত ১১ মার্চ নতুন করে এসব বিজিপি সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের আশারতলী গ্রামের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে বিজিপি সদস্যরা নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি স্কুলে আছে। তাদের ভরণপোষণ বিজিবির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রত্যাবর্তন করা হবে বলে ওই সূত্র জানায়।