সোমবার- ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

dainiknilgiri.com

অবাক করা কাণ্ড, শিকড় থেকে আসবাবপত্র!

অবাক করা কাণ্ড, শিকড় থেকে আসবাবপত্র!

সাধারণ কাজগুলো তার যেন মন টানেই না। ছোট কাল থেকেই ব্যতিক্রমী কাজ করতে পছন্দ করতেন তিনি আর সেই ব্যতিক্রমী কাজ খুঁজতে গিয়ে নতুন শৈল্পিক আসবাবপত্রের আবিষ্কার করেন ফেলেন তিনি যেগুলো কিনা গাছেন শিকড়(মূল) থেকে তৈরি করা হয়। বলছি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আজিজুর রহমানে কথা।

তার পাহাড়ী শিকড় থেকে তৈরি করা শৈল্পিক আসবাবপত্রগুলো প্রথম দেখাতেই যে কেউকে অবাক করে দেবে। আজিজুর রহমান প্রায় ৮ বছর আগে শখের বসে শুরু করে শিকড় থেকে আসবাবপত্র তৈরির কাজটি। কিন্তু এটি যে তার পেশা হিসেবে পরিণত হবে এবং রীতিমতো দেশে সাড়া ফেলবে কল্পনাও করেননি।

দুর দুরান্তের পাহাড় থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসে বিভিন্ন গাছের শিখড়। তারপরে শুরু হয় এই শিকড়গুলোকে যন্ত্রপাতি দিয়ে শৈল্পিক আসবাবপত্রে রূপ দেওয়ার চেস্টা।  আস্তে আস্তে তৈরি হয় চেয়ার, টেবিল, খাটপালং এমনকি বাসনকোসনও।

সুরাজপুর-মানিকপুর রোডের পাশেই আজিজুর রহমানের বাড়ি। এই বাড়ির আঙ্গিনায় বসে তিনি এই আসবাবপত্রগুলো তৈরি করেন এবং বাড়ির একটি বড় রুমে ভাজে ভাজে সাজিয়ে রাখেন।

আজিজুর রহমান বলেন, চেস্টা করি সবসময় ব্যতিক্রমী কিছু করার জন্য। সেই ব্যতিক্রমী কাজ খুঁজতে গিয়ে কখন যে শিকড় থেকে আসবাবপত্র তৈরি করে ফেললাম বুঝতেই পারিনি। এখন আর কোন কাজ করি না। শুধু শিকড় থেকে আসবাবপত্রই তৈরি করি। বর্তমানে আমার পরিবার চলে মূলত এই পেশার ইনকাম দিয়ে।

আজিজুর রহমান আরো বলেন, সরকার যদি এই ক্ষুদ্র শিল্পের প্রতি একটু সুনজর দেয় তাহলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারেও এই শৈল্পিক কাজগুলো তুলে ধরতে পারবো।

সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নর চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমও তার ব্যাপারে ভ‚য়সী প্রসংশা করে বলেন, তার সাথে একদিন বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার সময় দেখলাম নদীর পাড়ে তার চোখ গেলো একটি শিকড়ের উপরে। পরে সে শিখড়টা ঘরে এনে সুন্দর একটি ডাইনিং টেবিল তৈরি করে যেটি রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দেয়। শৈল্পিক কাজের প্রতি তার যে ভালোবাসা যদি সে সরকারি বা বেসরকারি কোন সহযোগীতা পায় তাহলে তার এই শৈল্পিকতাকে আরো বৃহৎ আকারে নিয়ে যেতে পারবে।

26Shares

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়